ভেজালমুক্ত খাদ্যের প্রচারণায় ২০১৫ সালের ২২ আগস্ট থেকে মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করেন আমিন খান। এরই মধ্যে চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, খোকসা, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় এ প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন তিনি। ভেজালবিরোধী এ প্রচারণার পৃষ্ঠপোষকতা করছে মার্সেল।
চিত্রনায়ক আমিন খান খাদ্যে ভেজালবিরোধী প্রচারণায় এবার গিয়েছিলেন নাটোরে। গত ১২ মে নাটোরে শিক্ষার্থীদের মাঝে খাদ্যে ভেজালবিরোধী প্রচারণা চালান আমিন খান। প্রচারণার অংশ হিসেবে জোড়মল্লিকা নিংগইন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে খাদ্যে ভেজালের অপকারিতা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আমিন খান। ‘ভেজালমুক্ত খাদ্যের দেশ, হবেই মোদের বাংলাদেশ’ এই স্লোগান নিয়ে নাটোরের জোড়মল্লিকা নিংগইন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণায় অংশ নেন এই জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা।
‘ভেজাল মুক্ত খাদ্যের দেশ, হবেই মোদের বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে গত ১৬ জানুয়ারি মাগুরার পরীক্ষণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভেজাল খাদ্য সর্ম্পকে শিক্ষকসহ শিশুদের সঙ্গে আলোচনা করেন চিত্রনায়ক আমিন খান। এর পর এই বিদ্যালয়ের মাঠে পাঁচ হাজারে অধিক মানুষের উপস্থিতে একটি সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
জনসচেতনতামূলক কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান। তারই ধারাবাহিকতায় ভেজালমুক্ত খাদ্যের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন এই অভিনেতা। এ প্রসঙ্গে আমিন খান বলেন, ‘খাদ্যে যেন কেউ ভেজাল না দেন সে বিষয়টি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই এই প্রচারণায় নেমেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আজকের এই শিশুর আগামী দিনের জন্য জাতির হাল ধরবে। তাই শিশুদের এ বিষয়টি বুঝাতে হবে। শিশুরা বুঝতে পারলে আমার বিশ্বাস তারা যদি তাদের বাবা-মাকে খাদ্যে ভেজাল মিশাতে বাঁধা দেয়, তাহলে তাদের বাবা-মা খাদ্যে ভেজাল মিশাবেন না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে খাদ্য ভেজাল প্রতিরোধ এখনই করতে হবে। আজ ভেজাল খাদ্য খেয়ে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ছি। কাল ভেজাল খাবারের শিকার হতে পারেন আপনিও আপনার শিশুও।’ এর আগে গত ২২ আগস্ট মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করেন আমিন খান। চুয়াডাঙ্গার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ভেজাল খাদ্য সর্ম্পকে সচেতন করে তুলেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ আগস্ট নিজ জেলা শহর খুলনার একটি বিদ্যালয়ের শিশুদের ভেজাল খাদ্যকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান এ অভিনেতা।