মাদক পাচার প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) প্রথমবারের মতো ৯৭ নারী সৈনিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

আগামী ৫ জুন চট্টগ্রাম সাতকানিয়ায় পাসিং আউট শেষে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এ উপলক্ষ্যে বিজিবি সদর দফতরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘আইন কঠোর না হলে সীমান্ত এলাকায় ইয়াবাসহ মাদক পাচার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। সম্মিলিতভাবে ব্যবস্থা না নিলে ইয়াবা পাচার ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।’ তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় নারী পাচারকারী ও চোরকারবারী আটক হলে বা সন্দেহ হলে সেখানে তল্লাশির ক্ষেত্রে বিজিবিকে বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়। এজন্য স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে নারী সৈনিক নিয়োগ করা হবে।

বিজিবি মহাপরিচালক জানান, আগামী ৫ জুন বিজিবিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নারী সদস্য দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। ওই দিন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এয়ার উইং চালু হবে। এছাড়া আগামী জুলাই থেকে বিজিবির সীমান্ত ব্যাংক চালু হবে।

ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টেকনাফে আনসার ক্যাম্পে হামলার ঘটনাটি পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি বিজিবিও তদন্ত করছে। মিয়ানমার পয়েন্টে কিছু অরক্ষিত সীমানা থাকার কারণে আনসার ক্যাম্প থেকে লুট করা আগ্নেয়াস্ত্র পাচার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী রমজানে সীমান্ত হাট আরও বাড়ানো হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে