মাত্র নয়দিন আগে দেয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশনাও কাজে আসেনি। চট্টগ্রামে সহিংসতা ঠেকানো যায়নি পঞ্চম ধাপের ইউপি ভোটেও। নির্বাচনের চতুর্থ ধাপকেও ছাড়িয়েছে অনিয়ম আর সহিংসতা। প্রাণ গেছে এক সদস্য প্রার্থীসহ দুজনের। এমন সহিংসতার জন্য মাঠপর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ না থাকা এবং তাদের ওপর মানুষের আস্থাহীনতার বহি:প্রকাশ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
পঞ্চমধাপে ইউপি নির্বাচনের মাত্র নয়দিন আগে, চট্টগ্রামে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে এমন কঠোর মনোভাবই দেখিয়ে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তবে তার এই বৈঠক, নির্দেশনা-সবই ছিল সার। কেননা, এই ধাপের ভোটেই সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে চট্টগ্রামে। অনেক জায়গায় গোলাগুলি হয়েছে। মারা গেছে এক সদস্য প্রার্থীসহ দুজন। আহত হয়েছেন অনেকে। এর বাইরে, জাল ভোট দিতে গিয়ে আওয়ামীলীগের একজন প্রার্থী আটক হয়েছেন।
সব প্রস্তুতির পরও কেন হলো এত সহিংসতা? বিশ্লেষকরা অবশ্য বিষয়টিকে দেখছেন নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থাহীনতার বহির্প্রকাশ হিসেবে। তবে প্রশাসন এসব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন হিসেবে উল্লেখ করে বলছে, শেষধাপে এমন কিছু যাতে না হয় সে জন্য নেয়া হবে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা, পঞ্চমধাপে চট্টগ্রামের চার উপজলোয় ভোট হয়েছে ৪৭টি ইউনিয়নে। আর শেষধাপে নির্বাচন হবে ৫৫ টিতে।