সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে পটুয়াখালীর বিসিক শিল্প নগরী। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন কার্যক্রম। সমস্যার কথা স্বীকার করে শিগগিরই তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে জানান বিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

১৯৮২ সালে পটুয়াখালীর মাঝগ্রাম এলাকায় ১৫ একর জমির ওপর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে বিসিক শিল্প নগরী। শুরুতে ৩২টি শিল্প ইউনিটের জন্য জমি বরাদ্দ দেয়া হলেও কার্যক্রম শুরু করে মাত্র ১২টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বর্তমানে সচল রয়েছে মাত্র ৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠান। আর বরাদ্দ দেয়া বাকি জমিগুলো পরিত্যক্ত হয়ে পরিণত হয়েছে গো-চারণ ভূমিতে।

পানি ও বিদ্যুৎসহ অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার অভাবে ৩৬ বছরেও গড়ে ওঠেনি বিসিক নগরীতে উল্লেখযোগ্য কোনো শিল্প কারখানা। এ অবস্থায় ভালো নেই শ্রমিকেরাও। আর পটুয়াখালী বিসিক মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খান বলছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

তবে সমস্যার কথা স্বীকার করে শিগগিরই তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে জানালেন, পটুয়াখালী বিসিক শিল্প নগরী সহকারী মহাব্যবস্থাপক কাজী তোফাজ্জেল হক। প্রতিষ্ঠার প্রায় ৩ যুগ পেরিয়ে গেলেও পটুয়াখালীর বিসিক শিল্প নগরীতে এখনো গড়ে ওঠেনি উল্লেখযোগ্য কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান।

ন্যাশনাল ডেস্ক, বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে