রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিদেশি নাগরিক হত্যা, জঙ্গি তৎপরতা ও দুর্বল অবকাঠামোর কারণে, বাংলাদেশে আসছে না ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিনিয়োগ।

সচিবালয়ে বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগের প্রথম বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এদিকে রাজধানীতে অন্য এক অনুষ্ঠানে, বাংলাদেশে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতের আহবান জানান, মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

ইউরোপের বাজারে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে বাংলাদেশ। বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের হিসেবে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে প্রায় ২ হাজার মিলিয়ন ডলার। তাই ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাণিজ্যের প্রসার বাড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৭টি দেশের সাথে বিজনেস কাউন্সিল করার ঘোষণা হয়েছিল আগেই। তারই অংশ হিসেবে ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ড, স্পেন এই ৮টি দেশ। আলোচনার এজেন্ডায় ছিল ফার্মাসিউটিক্যালস, আমদানিখাতে শুল্কায়ন, ফাইন্যান্সিয়াল ফ্লো, ট্যাক্স রিজাইম।

এর আগে বাংলাদেশে ইউরোপিয় বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন মধ্য আয়ের দেশে যাওয়ার উন্নীত হতে অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য সব ধরনের কাজ করছে। দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি এখন প্রায় সাতের কাছাকাছি। রেমিটেন্স প্রবৃদ্ধিও ভালো। তোফায়েল আহমেদ জানান, বাংলাদেশ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। সুতরাং বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের সম্ভবনাময় একটি জায়গা। ইউরোপিয় ইউনিয়নের মোট আটটি দেশের এ্যাম্বাসাডররা এই বৈঠকে অংশ নেন। দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে