বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরিতে তিনটি হ্যাকার গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে, সিলিকন ভ্যালির সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ফায়ারআইয়।
এরমধ্যে পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়ার দুটি। তবে হ্যাকাররা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোর দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছে, তা এখনো নিশ্চত নয়। ব্লুমবার্গকে এমন তথ্য দিয়েছেন ফায়ারআইয়ের দুই কর্মকর্তা। এদিকে, সুইজারল্যান্ডের বাসেল বৈঠকে, অর্থ উদ্ধার ও দোষীদের আইনের আওতায় আনতে এক সাথে কাজ করার কথা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, ফেডারেল রিজার্ভ ও সুইফট কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয় ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে। বিশ্বজুড়ে আলোচিত অর্থ পাচারের জন্য এতোদিন দোষারোপ করা হয়েছিল চীনা হ্যাকারদের। তবে তদন্ত দিচ্ছে ভিন্ন বার্তা।
বাংলাদেশের হয়ে অর্থচুরির ঘটনা তদন্ত করছে সিলিকন ভ্যালির সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ফায়ারআই। তাদের তথ্য বলছে, রিজার্ভ চুরিতে তিনটি হ্যাকার গ্রুপ জড়িত। যার মধ্যে একটি পাকিস্তানের।
পাকিস্তান ছাড়াও রয়েছে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকার গ্রুপ। তবে অন্য গ্রুপটি কারা এবং কোন দেশের, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি। হ্যাকিংয়ে বিষয়ে কথা বলতে ফায়ারআই কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেছিলেন পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু কোন সাড়া পাননি।
তিনটি হ্যাকার গ্রুপ সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোন দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি এই তদন্ত সংস্থা। তবে ম্যালওয়ার ব্যবহারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ জড়িত বলে সন্দেহ তাদের। একই আশঙ্কা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়েরও।
রিজার্ভ চুরি নিয়ে সুইজারল্যান্ডের বাসেলে মঙ্গলবার ফেডারেল রিজার্ভ ও সুইফট কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করেছেন গভর্নর ফজলে কবীর। এক যৌথ বিবৃতিতে, চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনতে এক সাথে কাজ করার কথা জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি উদ্যোগ নিবেন সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুরক্ষায়। তবে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি কিছুই।
শ্রীলঙ্কায় পাচার হওয়া দুই কোটি ডলার বাংলাদেশ ফেরত পেলেও ফিলিপাইনের অর্থ ক্যাসিনোতে স্থানান্তর হওয়া দেখা দিয়েছে আইনি জটিলতা। তা নিরসনে দেশটির সিনেটে শুনানির পাশাপাশি মামলা চলছে বিচার বিভাগে।