বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে অনিয়মের অভিযোগ এনেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন ও ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি উপকমিটি নামে দুটি সংগঠন।

অবশেষে বাড়ানো হলো বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের সময় সীমা। গ্রাহক ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে আগামী ৩১ই মে পর্যন্ত এ সময় নির্ধারণ করে দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। গত প্রায় ৫ মাস ধরে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম পুনঃনিবন্ধন হলেও এখনো প্রায় চার কোটি সিম অনিবন্ধিত থাকায় সিম নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শনিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ সময় বেধে দিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ৩১ মে রাত ১২টার পর অনিবন্ধিত সকল সিম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

আর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ফ্রি সিম পুন:নিবন্ধনের জন্য ডাক ও টেলিযোগযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এর আহ্বানে সাড়া দিতে গিয়ে তীব্র গরমের মধ্যে গ্রাহকদের বেশীরভাগই ছুটছেন বাসার কাছাকাছি কোন সিম পুন:নিবন্ধনের দোকানে, যেখানেও লম্বা লাইন। ঢাকা শহরের অনেকগুলো দোকানেই ঘুরে দেখা গেছে প্রতি সিম পুনঃনিবন্ধন বাবদ ২০/৩০ টাকা করে নিচ্ছে টেলিকম কোম্পানিগুলোর সহযোগী দোকানদারেরা, যা সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনী। এমনকি কোথাও কোথাও শেষ সময় পর্যন্ত ৫০ টাকাও নেয়া হয়েছে যা নিয়ে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে। এই চিত্র শুধু ঢাকা শহরেই নয়, সারা বাংলাদেশেরই। একটি দোকানে দৈনিক ২০০টি সিম পুন:নিবন্ধন করলে তারা অনায়াসে ৪০০০ টাকা বেআইনীভাবে আয় করে নিচ্ছেন এক দিনেই, অথচ কথা বলে জানা গেছে প্রতিটি সিম পুন:নিবন্ধন বাবদ মোবাইল অপারেটর থেকে তারা কমিশন পাচ্ছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হস্তক্ষেপ করেও আয়ত্তে আনা সম্ভব হচ্ছেনা, এই অতিরিক্ত ২০/৩০ টাকা করে নেয়া বন্ধ করলেও সেটা সীমিত আকারে। আবার অনেকেই এই অল্প টাকার জন্য অভিযোগ করতেও আগ্রহী না। বিষয়টা কি তাহলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মোবাইল অপারেটরদের অগোচরেই হচ্ছে সেটাও অনেকেই বিশ্বাস করতে রাজী না। অনেকেই ইতিমধ্যে মোবাইল অপারেটদের এ বিষয়ে অবহিত করলেও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়নি। যার ফলে প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকা গ্রাহকদের কাছ হাতিয়ে নিয়েছে রিটেইলাররা।

গাজী মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক
বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে