কারাগারে বিনা বিচারে দীর্ঘদিন যারা আটকে আছে তাদের তালিকা করে আইনগত সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও সুশাসনের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তিনি আরো বলেন, আইনি সহায়তা পাওয়া প্রতিটি নাগরিকের আইনগত অধিকার।

আদালতের বারান্দায় বিচারপ্রার্থী এমন অনেকেই দেখায় যায়। যাদের অনেকের আর্থিক সামর্থ্য নেই মামলা চালানোর। স্বল্প শিক্ষিত অথবা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত এমন অনেক মানুষও আছেন যাদের পক্ষে মামলা মোকদ্দমার জটিল বিষয় বোঝা অনেকটাই কঠিন। তাই সাধারণ মানুষের জন্য সরকারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেকটি জেলায় স্থাপন করা হয়েছে লিগ্যাল এইড অফিস। একই সঙ্গে স্বল্প আয়ের এবং অসহায় বিচার প্রার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আইনি সহায়তা দিতে চালু করা হলো লিগাল এইড সেন্টার জাতীয় হেল্প লাইন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন বহু মানুষ আছেন, যারা বিচার পান না। অনেকে মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর ধরে কারাগারে পড়ে আছেন। তারা বা তাদের পরিবারের সদস্যরা জানেনই না যে, কিভাবে এ দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, কিভাবে আইনগত সহায়তা পেতে হয়। তাদের কল্যাণেই জাতীয় আইনগত সহায়তা কর্মসূচি চালু করেছে সরকার। বিনা বিচারে এভাবে যারা দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন, তাদের তালিকা করে আইনি সহায়তা দিতে হবে, তারা যেন বিচার পান। সমাজের অসহায়-দরিদ্র মানুষের সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাধীন জাতি। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। স্বাধীন দেশে তিনি একটি সংবিধান দিয়ে গেছেন। যেখানে মানুষের সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর সেই সংবিধানের পদাঙ্ক অনুসরণ করছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে