কে এম মিঠু, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি।। ঘরে বসে ইউটিউব দেখে দেখে রিমোট কন্ট্রোল বিমান তৈরির পর উড়িয়ে সবাইকে তাক লাগিছেন দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী সিয়াম। মো. সিয়াম (১৫) টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাটবৈরাণ গ্রামের কৃষক মো. হাবিবুর রহমানে পুত্র। সে স্থানীয় সুতী ভিএম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার দশম শ্রেণীর ছাত্র।
জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই কারিগরি কাজের প্রতি সিয়ামের ব্যাপক ঝোঁক। পিতার মোবাইলের মাধ্যমে ইউটিউবে বিমান বানানো দেখে তারও ইচ্ছা জাগে বিমান বানানোর। ৫ বছর ধরে এনিয়ে সে ব্যস্ত থাকেন। স্কুলের টিফিনের বাঁচানোর টাকায় অনলাইন শপ ও সশরিরে ঢাকা থেকে বিমান তৈরির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কিনে আনেন। এমন কাজে উৎসাহ দেখে তার বাবাও ছেলেকে আর্থিক জোগান দেন। আমেরিকান যুদ্ধ বিমান এফ২২ র্যাপ্টরের আদলে বানানো বিমানটির নাম দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু এফ২২ র্যাপ্টর। গতকাল ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গোপালপুর সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেট বিমান আকাশে উড়িয়ে সবাইকে চমক দিয়েছে সিয়াম।
সিয়াম জানান, পর্যাপ্ত অর্থ সহায়তা পেলে কৃষি কাজে ব্যবহৃত ড্রোন বানানোসহ ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে দূরে নজরদারি বিমান বানিয়ে দেশকে সহযোগিতা করতে পারবেন। সরকার সুযোগ দিলে যুদ্ধ বিমান বানানোর কাজে সহযোগিতা করে দেশকে এগিয়ে নিতে চান। বিমানটি বানানোর পর বাড়ির আঙ্গিনায় সাময়িক উড়ানো হলেও গবেষণার জন্য উড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেতেও সহযোগিতা কামনা করেন। সিয়ামের পিতা হাবিবুর রহমান বলেন, আমি কৃষক মানুষ এতো কিছু বুঝিনা। ওর এসব কাজের প্রতি আগ্রহ দেখে টাকা চাইলে চেষ্টা করতাম টাকা দিতে। ছেলের এই কর্ম সরকারের সহযোগিতায় দেশের কল্যাণে কাজে লাগুক এটাই আমার চাওয়া। সুতী ভিএম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, সিয়ামের মেধা দেখে আমরা আশ্চর্য হয়েছি। ওর গবেষণায় যা দরকার হবে বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করবো।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হায়দার বলেন, গ্রামের বাসিন্দা সিয়ামের প্রতিভা দেখে আমি বিস্মিত। তার বানানো জেট বিমানটি চমৎকার লেগেছে। লোকাল প্রশাসনের সাথে কথা বলে ওকে আর্থিক সহায়তা করার চেষ্টা করবো।